
প্রকাশিত: Sun, Jan 8, 2023 3:01 PM আপডেট: Mon, May 12, 2025 5:12 AM
রাজনীতিতে টাকা, টাকার রাজনীতি
রবিউল আলম
মহাত্মমা গান্ধী, স্টালিন, মাওসেতুঙ, বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, রাজনীতির জন্যই অমরত্ব লাভ করেছেন। বিশ্বাসের প্রতীক জাতীয় চার নেতা, সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম-সহ অগুনিত রাজনৈতিক মনীষীর সৎ রাজনীতি উপহার পেয়েছিলো বাঙালি জাতি। নিজের খেয়ে, দেশ ও জাতির জন্য জীবনের সবটুকু বিলিয়ে দিয়েছেন।
সঞ্চয় বলতে পেয়েছেন, অমরত্ব। বাড়ি নেই, গাড়ি নেই। অমরত্বের খাতা পরিপুর্ণ। কোনো ষড়যন্ত্র, অপবাদ তাদের স্পর্শ করতে পারেনি, পারবেও না। রাজনীতিতে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন। রাজনীতির জন্য স্মরণীয় হয়ে থাকবেন জিয়ার ভাঙা সুটকেস থেকে ডলার পাউন্ড রিয়ালের মেলা। বাংলাদেশের আইনে অবৈধ অর্থের প্রমাণ করতে দীর্ঘ সময় লেগেছে। তারেক-জোবাইদার স্থাবর-অস্থাবর সম্পর্তি বাজেপ্ত করা হয়েছে। অর্থ মানবকল্যাণে, রাজনীতির প্রয়োজনে, দেশ ও জাতি উন্নয়নে কাজে আসেনি। সেই অর্থ রাষ্ট্রের প্রয়োজনে বাজেপ্ত করার বিকল্প নেই। এই অবৈধ অর্থ দেশ ও জাতির ক্ষতিসাধন করেছে, তার বিচার বাকি থাকলো।
টাকা দিয়ে বাংলার স্বাধীনতা সংগাম, বাঙালি জাতির মুক্তি, মুক্ত মানচিত্র হয়নি। টাকা দিয়ে রাজনীতি হয় না, নীতি আদর্শ টাকায় চলে না। সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম সেই কথাই বারবার মনে করিয়ে দিতেন। রাজনীতি করলে দুর্নীতি ছাড়ুন, দুর্নীতি করলে রাজনীতি ছাড়ুন। কে কার কথা শুনে। শেখ হাসিনার হাতের ছোঁয়া পেতে, আপনাকের দুর্নীতি ছাড়তেই হবে, অমরত্বের জন্য। আপনি চাইলে ক্যাসিনো সম্রাট, মাদকসম্রাট, ব্যাংকডাকাত, ইন্ডাস্ট্রির মালিক হতে পারবেন, রাজনীতির নামে বিদেশি ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে। চাইলে ভাসানী, মুজিব, জাতীয় চার নেতা হতে পারবেন না। জোহরা তাজউদ্দীন, সাজেদা চৌধুরীর, সাহারা খাতুন হওয়া যায় না। তোফায়েল আহমেদ, মতিয়া চৌধুরীরা শেখ হাসিনাকে বুঝতে শিখেছেন, দেশপ্রমে অমরত্ব বিরাজ করে। অমরত্বের আকাক্সক্ষা থেকে বিদেশি শক্তি, ষড়যন্ত্র ভারতের রক্তচক্ষু, আমেরিকার হুঙ্কার উপেক্ষা করে তিস্তা প্রকল্প এগিয়ে চলছে।
দেশপ্রেম ইমানের অঙ্গ, রাজনীতি কি বেইমানীর অংশ হতে চলেছে, শুধু টাকার জন্য? এতো টাকা কোত্থেকে আসে? মির্জা আব্বাসের, ক্যাসিনো সম্রাটদের আলমারিতে নগদ টাকার অভাব নেই। অভাব হয় না তারেকের ডলারের। নূর এখন ইসরায়েলের এজেন্ট, মান্না, রবরা অংশ কিনা, কে জানে। ইসরায়েলের টাকা বাংলাদেশে আসে। জামায়াত ও ইসলামিক দলগুলোর দেশ ধ্বংসের রাজনৈতিক কর্মসুচি দেখে, বুঝতে অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। বিএনপিও অংশীদার হতে পারে।
মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি হতে চায়। স্বাধীনতাবিরোধী জামায়াতমুক্ত হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন, নাটকের শেষ দৃশ্য দেখার অপেক্ষায় জনগণ। টাকার রাজনীতিতে অস্থিরতা খুঁজে পাই, ঠুসঠাস করেই শেষ। জনগণের সম্পৃক্ততা ছাড়া রাজনীতির স্থায়িত্ব হয় না বলেই ১০ ডিসেম্বরের পর থেকে বিএনপিকে খুঁজে পাচ্ছি না। জনদাবি থাকলে জনগণ ঘুরে দাঁড়াতো। জনগণকে ঘুরে দাঁড় করাতে পারলেই যেকোনো স্বৈরাচার, আমের আচার সরকার পালাতে বাদ্র। এ জন্য টাকার প্রয়োজন হয় না। আওয়ামী লীগ উভয় পথ দেখিয়েছে। এরশাদের স্বৈরাচার, বিএনপির আমের আচারের সরকারকে বস্তাবন্দী করে। জনগণ পাশে ছিলো এবং আছে বলেই আপনাদের অপরাজনীতি সম্পর্কে অবহিত। দেশ-বিদেশের কোনো ষড়যন্ত্রই শেখ হাসিনার সরকারকে স্পর্শ করতে পারছেন না, আল্লাহ পাকের রহমতে। টাকা দিয়ে ঠুসঠাসের রাজনীতি করা যায়। জনগণের জন্য, জনদাবির রাজনীতিকে মিলানো যায় না। লেখক: মহাসচিব, বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতি
আরও সংবাদ
চ্যাম্পিয়ন ভারত : একটা ছোট মুহূর্ত কতো বড় পার্থক্য গড়ে দিতে পারে
‘ওই ক্যাচ হয়নি, সুরিয়াকুমারকে আবার ক্যাচ ধরতে হবে’!
কতো দেশ, কতোবার কাপ জিতলো, আমাদের ঘরে আর কাপ এলো না!
সংগীতাচার্য বড়ে গোলাম আলি খান, পশ্চিমবঙ্গের গর্ব সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় ও আমি
ইন্ডিয়ান বুদ্ধিজীবী, ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্র ও দেশের বুদ্ধিজীবী-অ্যাক্টিভিস্ট
মতিউর প্রতিদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ৮৩ ব্যাচের বন্ধুদের গ্রুপে সৎ জীবন যাপনের উপদেশ দিতেন!

চ্যাম্পিয়ন ভারত : একটা ছোট মুহূর্ত কতো বড় পার্থক্য গড়ে দিতে পারে

‘ওই ক্যাচ হয়নি, সুরিয়াকুমারকে আবার ক্যাচ ধরতে হবে’!

কতো দেশ, কতোবার কাপ জিতলো, আমাদের ঘরে আর কাপ এলো না!

সংগীতাচার্য বড়ে গোলাম আলি খান, পশ্চিমবঙ্গের গর্ব সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় ও আমি

ইন্ডিয়ান বুদ্ধিজীবী, ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্র ও দেশের বুদ্ধিজীবী-অ্যাক্টিভিস্ট
